নিজাম উদ্দিন, চট্টগ্রামঃ
বান্দরবানে দাপটের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা এবং আলোচিত সন্ত্রাস কাজী মুজিব এবং তার ছোট ভাই মোঃ ইকবাল। তাদের হুমকি ধামকিতে বান্দরবান অচল। ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলেও সাথে সাথে রূপ বদলে অন্য রূপ ধারণ করেন এসব নেতারা। কাজী মুজিবুর রহমান জানিয়ে দেন তিনি সারা বান্দরবানের রাজা, তার উপর কথা বলার সাহস কারোর নেই। নিজের দল বল নিয়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে তালা ঝুলিয়ে বের করে দেন নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সবাইকে এবং সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি তালিকা তৈরি করেন, তার পছন্দের মানুষ যাদেরকে তিনি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান এবং সদস্য হিসেবে বসাবেন সে তালিকাও তিনি সেখানে বসে তৈরি করে। ঐ তালিকায় তার স্ত্রী খুরশিদা ইসহাককে সদস্য পদ ঘোষণা করেন। যিনি বান্দরবান মহিলা লীগের সভাপতি এবং বান্দরবান পৌরসভার আওয়ামী লীগের তিন বারের কাউন্সিলর। শুধু এখানেই শেষ না সদস্য হিসেবেও নিয়ে নেন বান্দরবান ছাত্র লীগের সাবেক ভিপি মোঃ নাছির উদ্দিনকে প্রতিটি বাছাই কৃত সদস্য প্রায় আওয়ামী লীগের। চেয়ারম্যান হিসেবে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি অধ্যাপক থানজামা লুসাই বান্দরবান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি লাল সানি লুসাই এর স্বামী। লাল সানি লুসাই আওয়ামীলীগের সমস্ত সুযোগ সুবিধা একাই ভোগ করেছেন চেম্বার অব কমার্স থেকে এবং এখনো করছেন দাপটের সাথে আওয়ামী লীগের এই দুষ্ট চক্র মহল গুলো ইদুরের মতো ঢুকে যাচ্ছেন। অন্তর্বতীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বান্দরবানের কুখ্যাত সন্ত্রাসী নামে খ্যাত কাজী মুজিব এর অপকর্ম দিন বেপরোয়া হয়ে চলছে। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের তালিকা তৈরি করে ঘোষণা দিলেন, বান্দরবান আমার, আমার কথায় বান্দরবান চলবে, উঠবে এবং বসবে। নয় তো বা পরিষদে আবারো তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে এবং বান্দরবানের কোন প্রতিষ্ঠানকেই তিনি চালাতে দিবেন না বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন। কাজী মুজিব বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন নিজ হাতে কিন্তু ক্ষমতা থাকবে মুজিবের হাতে এই প্রতিশ্রুতিতে বান্দরবান পার্বত্য জেলা এখন কাজী মুজিবের বিশাল বাড়ি, এমন লজ্জাজনক ঘটনা ইতিহাসে প্রথম। এসব জুলুম ও নির্যাতন থেকে পরিত্রাণ পেতে চায় বান্দরবান জেলার সুশীল সমাজ। বান্দরবান সুশীল সমাজ মনে করেন পার্বত্য অঞ্চলে সেনাবাহিনী হত্যা, বিভিন্ন দাঙ্গামা ও হাঙ্গামা তৈরি করে এই সব নেতারা পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি করে রাখেন। তারা আরও বলেন, এদের কে কঠিন আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার করতে হবে যেন অন্য কেউ এই সব অরাজকতা সৃষ্টি করার সুযোগ না পায়।